রবিবার (৩জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।এর কিছু সময় পরেই প্রসাশনের আশ্বাসে কর্মসূচি শেষ হয়।এর পর তাঁরা প্রক্টর,উপাচার্য এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত চার দফা দাবি হচ্ছে-
১.জানুয়ারীর ১০ তারিখের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন দিতে হবে।
২. পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পর প্রয়োজনে অনলাইনে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে।
৩.পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে হবে।
৪. ইনস্টিটিউটের সেশনজট নিরসনে শিক্ষক নিয়োগ, ক্লাসরুম বৃদ্ধিসহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম বর্ষে আমরা ২৪ মাস পার করেছি। এজন্য বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ও আমাদের ইনস্টিটিউট বলছে তাদের পরীক্ষা নিতে সমস্যা নাই। প্রশাসন আমাদের থেকে দুই দিন সময় নিয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা দুই দিনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি।
এ ব্যাপারে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া সিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা ডিরেক্টরের সাথে কথা বলেছি।তাঁরা শীঘ্রই একডেমিক কমিটির মিটিং এর মাধ্যমে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা তাদের ব্যাপারটা নিরসনের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি।’
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন কারণে আইইআরের ২০১৯ সালের পরীক্ষা পিছিয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ পরীক্ষার দিন ধার্য করে রুটিন প্রদান করা হয়। কিন্তু ১৭ তারিখ থেকেই করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করে শিক্ষার্থীরা।