সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয়ের মাধ্যমে এ চিনি ও সয়াবিন তেল সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে- যে কোনো উপায়ে প্রয়োজন এবং সরবরাহ মাঝে যেন কোনোরকম অসামঞ্জস্য না আসে। আমাদের সাপ্লাই চেইন যেন শক্তিশালী থাকে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাপ্লাই চেইন হিসেবে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবিকে ব্যবহার করা হবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে কিছু ওয়েবার (ছাড়) দিতে পারি। কখনও কখনও জরুরি প্রকিউরমেন্ট লাগে, আমরা জরুরি ভিত্তিতে সব নিয়মনীতি নাও মানতে পারি, না মেনেও হয়তো আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। আমাদের কাছে দেশ ও দেশের মানুষ অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।’
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস সামনে। আমরা আশা করব- যে বিপর্যয় এখন সারা বিশ্ব সহ্য করছে আল্লাহর রহমতে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে রমজান মাস শেষ করে ঈদের প্রত্যাশায় আমরা আছি।’
তেল ও চিনি কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাছিমা বেগম বলেন, ‘সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ৬১ টাকা ২৫ পয়সা দরে প্রতি কেজি চিনি কেনা হবে। গুদাম পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য এই মূল্য প্রযোজ্য হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় ৩০ হাজার টন সয়াবিন তেল কেনারও প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২ লিটার এবং ৫ লিটারের বোতলে কেনা হবে। ২ লিটার বোতলের প্রতি লিটারের দাম ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ৫ লিটার বোতলের প্রতি লিটারের দাম পড়বে ৯০ টাকা ৯৫ পয়সা।’
বসুন্ধরা গ্রুপ এবং সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। এ বছর এপ্রিলের ২৩ তারিখ থেকে রমজান শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।