সোমবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিনিয়র তথ্য অফিসার সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এবার ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে এনবিআর।
কর বিভাগের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এই সুযোগ নিয়ে শেয়ারবাজারে ২০৫ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। এর মাধ্যমে এনবিআর আয়কর পেয়েছে প্রায় ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এছাড়া আবাসনসহ অন্যান্য খাতে আরও ৭ হাজার ৪৪৫ জন কালো টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এতে এনবিআর ৯৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কর পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের বাজেট বলা হয়েছে দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেনও, ব্যক্তি শ্রেণির কর দাতাদের চলতি অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা যেকোনও সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে কর্তৃপক্ষসহ কেই প্রশ্ন করতে পারবে না। একই সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে, ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর দিলে, আয়করসহ কোনও কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না। এর বাইরে বিনিয়োগ চাঙা করতে বিদায়ী অর্থবছর থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে সরকার। সেখানে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের ১০ শতাংশ কর দিলেই প্রশ্ন করবে না এনবিআর। ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সুযোগ আছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত কেউ হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে কালো টাকা বিনিয়োগ করেননি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, এই পর্যন্ত দেশে ১৭ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা সাদা হয়েছে ২০০৭ ও ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সময় ৩২ হাজার ৫৫৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ নিয়েছিল। তখন ৯ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা বৈধ করা হয়। তবে দেশে ঘোষণা দিয়ে প্রথম কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, সামরিক আইনের আওতায়।