বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল চিঠি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে যেসব ঋণগ্রহীতা তাঁদের ঋণের কিস্তি বিলম্বে পরিশোধের সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশ সাধারণ প্রভিশন রাখার জন্য আগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) বাড়তি সঞ্চিতির বিধানটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গভর্নরকে চিঠি দেয়। বিএমবিএ চিঠিতে জানায়, ৩০টি তালিকাভুক্ত ব্যাংক ২০১৯ সালে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছিল ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত তা দাঁড়াবে ৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকায়। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করলে ব্যাংকগুলোকে ৯ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত সঞ্চিতি রাখতে হবে।
করোনার কারণে বিদায়ী ২০২০ সালে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ কারণে নতুন করে কোনো গ্রাহক ঋণখেলাপি হচ্ছেন না। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে মুনাফা থেকে অতিরিক্ত হারে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকগুলোর কাগুজে মুনাফা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী মুনাফায় সঞ্চিতির লাগাম টানে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিশেষ হিসাবে থাকা এসএমই ঋণ ও সব ধরনের ভালো ঋণের ওপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হবে। এ ছাড়া কোন ধরনের ঋণের সুদকে আয় খাতে নেওয়া যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিসেম্বরের নির্দেশনা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কেউ বলেন, সব ঋণের ওপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। যেসব ঋণ আদায় হয়নি, আবার খেলাপিও হয়নি, তার ওপর অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন রাখার কথা জানান কেউ কেউ।