বৈশ্বিক চাল রফতানিকারকদের তালিকায় ভারত শীর্ষে রয়েছে। এশিয়ার চালের বাজারে ভারতে ও ভিয়েতনাম একে অপরের প্রতিদ্ধন্দ্বী। ভিয়েতনামের অবস্থান তৃতীয়। মহামারী করোনার সময় রফতানিমুখী চালের বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশটির বাজারে রফতানিযোগ্য প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫০৫ ডলারে। এর আগে, গত ৯ বছরের মধ্যে এটাই ভিয়েতনামিজ চালের সর্বোচ্চ দাম।
অন্যদিকে ভারতের বাজারে রফতানিমুখী চালের দাম রয়েছে তুলনামূলক কম। বর্তমানে ভারতের বাজারে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৩৮১-৩৮৭ ডলারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারতীয় চালের তুলনায় ভিয়েতনামের বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তি রয়েছে টনপ্রতি ১১৫ ডলারের বেশি।
এ পরিস্থিতিতে ভিয়েতনামিজ ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানিকে লাভজনক বিবেচনা করছেন। তাদের মতে, আমদানি করে খাদ্যপণ্যটির বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তা না হলে ভিয়েতনামের বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানা যাবে না। মূলত এ কারণে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে ভিয়েতনাম। ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তির আওতায় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভারত থেকে ভিয়েতনামে ৭০ হাজার টন চাল যাবে। প্রতি টন চালের রফতানিমূল্য ধরা হয়েছে ৩১০ ডলার। অর্থাৎ, নিজেদের বাজারে এখনকার দামের তুলনায় টনপ্রতি প্রায় ২০০ ডলার কমে চাল আমদানি করছে ভিয়েতনাম।
এ বিষয়ে ভারতের রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বি.ভি. কৃষ্ণ রাও বলেন, প্রায় তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম আমরা ভিয়েতনামে চাল রফতানি করছি। এশিয়ার অন্য রফতানিকারক দেশগুলোর তুলনায় বর্তমানে ভারতের বাজারে চালের দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। এ সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছে ভিয়েতনাম। দেশটির ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, কম দামে আমদানি করতে পারলে অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম কমে আসবে।