বুধবার (৬ জানুয়ারি) শামীমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শামীমের আইনজীবী।
এদিকে এ মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে গত ৪ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। এতে তাঁর মাথা থেঁতলে যায়। এরপর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলা করা হয়। মামলায় আশাকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক শামীম আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শামীমকে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শামীম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আশা মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাকে চাপা দিলে মাথায় জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আশা মারা যান।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহান আহম্মেদ বলেন, ‘টানা চার ঘণ্টা ধরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলাম। ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ট্রাক পেছন থেকে শামীমের মোটরসাইকেলকে মেরে দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে আশা ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। মামলায় ট্রাক চালককে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এখনো ট্রাকের খোঁজ মেলেনি। আমরা চেষ্টা করছি।’