গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানি ও রফতানি অধিদপ্তরের সঙ্গে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও ই-পেমেন্ট কার্যক্রম ‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ফি বা চার্জ এখন থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে জমা প্রদান করা যাবে। এ উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আমদানি ও রফতানি অধিদপ্তরের সঙ্গে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হলো। এর মাধ্যমে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হলো। গত বছরের জুলাই থেকে অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানি, ইনডেন্টিং ও শিল্প নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে ডিজিটাল সেবা প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ সফলভাবেই সে কাজটি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-পেমেন্ট সেবা চালুর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ফি/চার্জ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা থাকবে না। দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সব খাতে ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। দেশে গ্রামের মানুষও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে।
আমদানি ও রফতানি অধিদপ্তরের পক্ষে প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলেমান খান এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার সুভাস চন্দ দাস সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ক্যাশ অন কাউন্টার, অনলাইন অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেভিড-ক্রডিট কার্ডসহ অন্যান্য পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। এতে ব্যবসায়ীদের সময়, শ্রম ও ব্যবসা পরিচালনা কমবে।
আমদানি ও রফতানি অধিদপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আতাউর রহমান প্রধান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব বিভাগীয় প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।