আজ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, 'পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০'-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে সরকার। বর্তমানে দেশে ৪৬টি সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে মোট ৪৭টি সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী সুযোগ সৃষ্টি, সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে।
অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়েও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং অন্যান্য কর্মকর্তা থাকবেন। সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অন্যান্য সংস্থা নির্ধারণেরও কথা বলা হয়েছে খসড়ায়। বিশেষায়িত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিজিটিং অধ্যাপক, ইমেরিটাস অধ্যাপক, পরামর্শক, গবেষণা সহকারী, স্কলার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে বিভিন্ন বাছাই বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ করা যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রগুলোর মতে, দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অনেক যৌক্তিকতা রয়েছে। কারণ, এ জেলার পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট ও ঝালকাঠি জেলায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বিভাগীয় শহর বরিশালে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়) থাকলেও কোনো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে পটুয়াখালী জেলায় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) থাকলেও পটুয়াখালী পিরোজপুর জেলার নিকটবর্তী নয়। তা ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও কোনো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় পিরোজপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন যথার্থ হবে।