সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর বা মূসক, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর থেকে অব্যাহতি সুবিধা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে।
সুবিধা পাওয়া এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাস্ক, কেএন-৯৫ মাস্ক, এন-৯৫ মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্যাস মাস্ক, মাস্কের ইয়ার ব্যান্ড, নোজ প্রটেক্টর, প্লাস্টিক ফেস শিল্ড, সুরক্ষা গগলস ইত্যাদি। এ ছাড়া মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের নন-ওভেন ফিলামেন্ট, স্যানিটাইজার তৈরির ইসোপ্রোপাল অ্যালকোহল এই সুবিধার আওতায় থাকবে।
শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে হলে আমদানিকারককে অবশ্যই সরকারি নিবন্ধনভুক্ত (আইআরসি) ওষুধ কোম্পানি, মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদক ও পোশাক উৎপাদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চে। এপ্রিলে সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রীর আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, অগ্রিম আয়করসহ যাবতীয় শুল্ক-কর মওকুফ করেছিল সরকার। প্রথম দফায় যে সুবিধা দেয়া হয়েছিল তার মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব পণ্য আমদানিতে সব ধরনের সুবিধা দেয়া হয়। ফের গত ৫ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে আমদানিকারকদের আরো ৬ মাস এই সুবিধা প্রদান করা হলো।