বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্মামীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ননটেরিফ ব্যারিয়ারগুলার বিষয়ে আলোচনা করা যায়। সীমান্তে কাষ্টমস ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এজন্য উভয় দেশকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য জটিলতা দুর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে সকল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্মামী’র প্রশংসা করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যাগুলো আগেই সমাধান করা যেতো। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ এসেছে। এখন সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধমে এ সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব। রামগড় সীমান্তে ব্রিজ নির্মাণের ফলে উভয় দেশের আমদানি ও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে কাষ্টমস হাউজ ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করে কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। এতে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সীমান্তে কাষ্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ ভর্থ বছরে বাংলাদেশ ভারতে ১,০৯৬.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে রপ্তানি করেছে ৫,৭৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে।