বুধবার (১৩ জানুয়ারি) অনলাইনে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব এবং গ্রাজুয়েশন করব, উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাব। সেটি করার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, সেটি জাতিসংঘ দেখে এবং এজন্য প্রত্যেক দেশ যদি ইচ্ছা পোষণ করে যে তারা গ্রাজুয়েশন চায়, তারা এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে তাদের জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে জানাতে হয়।
এরা ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বসে এবং এটি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি দেশকে আপগ্রেড করা হয়, নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে এই কমিটি পর্যালোচনা সভা করেছিল। ওই সভায় এই কমিটিকে খুশি করতে কমিটির যে চাহিদা সেটি আমরা পূরণ করেছিলাম। তিনটি চাহিদা সেখানে আছে। দেশের ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেস্ক, হিউম্যান অ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম। তিনটি বিষয় দেখে একটি দেশকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটি একটি সভায় করা হয় না, এই কমিটি পরবর্তী সভায় যখন আবার বসবে প্রথম সভায় যারা ক্রাইটেরিয়াগুলো মিট করতে পারবে এবং দ্বিতীয় সভায় যারা ক্রাইটেরিয়া মিট করতে পারে তাদেরই গ্রাজুয়েশনের জন্য সিলেক্ট করা হয়। আমরা ২০১৮ সালে এই কমিটি যখন বসেছিল সে সময় আবেদন করেছিলাম এবং আমরা সেখানে অ্যাসেসমেন্ট যে তিনটি ক্রাইটেরিয়া আছে, ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেস্ক, হিউম্যান অ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম যেটা মিনিমাম থাকে তার চেয়ে বেশি আমাদের, সেটা পূরণ করেছিলাম। যেহেতু এটা প্রথম অ্যাসেসমেন্ট ছিল আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয় অ্যাসেসমেন্ট সভার জন্য। তৃতীয় অ্যাসেসমেন্ট সভাটি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে হবে, ওই সময় আমরা আশা করি এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব। এবং আমরা পরবর্তী যে স্তর (উন্নয়নশীল) সে স্তরে পৌঁছে যাব।’