এরপর বিএসইসি গত ৪ জানুয়ারি পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। একই সাথে বিষয়টি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও(এনবিআর) অবহিত করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বিদেশে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার অংশ হিসেবে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরই দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেলো।
জানা গেছে, ডিজিটাল বুথ খুলতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউজ দুটি দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পেতে কাজ শুরু করেছে। তবে দুবাইতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ডিজিটাল বুথ শিগগিরিই চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়াইর দুবাইয়ে ‘রাইজিং অব বেঙ্গল টাইগার:পটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ নামে চারদিন ব্যাপী রোড শো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই রোড শোতে আংশগ্রহণ করবেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ওই সময়ই ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ডিজিটাল বুথ করা উদ্বোধন করার প্রস্ততি চলছে।
এদিকে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডাতে কখন ও কীভাবে তাদের ডিজিটাল বুথ চালু করবে তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কানাডার টরেনটোর অনটারিও কমিশনে ডিজিটাল বুধ খোলার জন্য আবেদন করেছে। লাইসেন্স পেলেই শিগগিরই ডিজিটাল বুথ চালু করবে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে ডিএসই ও সিএসইর পাশাপাশি বিএসইসিতেও আবেদন করে। তবে বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতি নিয়ে বিএসইসতে আবেদন করার বিধান থাকলেও, ব্রোকারজে হাউজ দুটি তা পরিপালন করেনি। ডিএসই ও সিএসইর অনুমতি না নিয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছে তারা। যেহেতু বিদেশে বুথ খোলার অনুমোদন এবারই প্রথম দেওয়া হচ্ছে, তাই বিষয়টিকে নমনীয়ভাবে দেখছে বিএসইসি।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে।
এছাড়া বিদেশে বুথ খুলতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্টাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে সেই স্টাম্পে।