সোমবার (১৮ জানুয়ারি) শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি বছরের মতো ওই দিন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে ভাষণ দেবেন। এর পর রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে আনা প্রস্তাবের ওপরের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন দীর্ঘ হয়। বছরের প্রথম এই অধিবেশন ৩০ থেকে ৩৫ কার্যদিবস চলে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস চলতে পারে।
গত বাজেট অধিবেশন এবং মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশনের মতো এবারের অধিবেশনেও সংসদ সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করে যাদের নেগেটিভ রিপোর্ট আসবে তারাই অংশ নিতে পারবেন। অধিবেশন শুরুর দুই দিন আগে সংসদ সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
প্রথম দিন রাষ্ট্রপতির ভাষণ থাকায় ওই দিন সকল সংসদ সদস্য অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন। এর পর প্রতিদিন ৭০/৮০ জনের উপস্থিতির টার্গেট নিয়ে সর্বোচ্চ ৯০ জন সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
প্রত্যেক কার্যদিবসের জন্য সংসদ সদস্যদের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আরও জানান।
এর আগে গত বছর জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ সালের অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশন এবং এর পর মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত হয়। সে সময়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি কার্যদিবসে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্য পর্যায়ক্রমে অধিবেশনে অংশ নেন।
এবারও সংসদের অধিবেশন কাভার করতে সাংবাদিকরা একদিন সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন। শুধু প্রথম দিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় সংসদ ভবনে যাওয়ার অনুমতি পাবেন সাংবাদিকরা।
এর জন্য প্রত্যেক মিডিয়া থেকে একজন রিপোর্টারকে অধিবেশন শুরুর আগে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় করোনা পরীক্ষা করতে বলা হবে। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তারাই কেবল অধিবেশনের প্রথম দিন অধিবেশন কাভার করতে সংসদ ভবনে যেতে পারবেন।