হিপনোসিসের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘শাকিরা তাঁর শিল্পীজীবনে যত গান রেকর্ড করেছেন, তার সবই আমরা কিনে নিয়েছি। এটা আমাদের কোম্পানির জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য। শাকিরা একজন দুর্দান্ত শিল্পী। তাঁর জীবনের সব গানের স্বত্ব কেনা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক বড় অর্জন। মুহূর্তটি আমাদের জন্য কেবলই উদ্যাপনের।’
১৯৯১ সালে প্রথম অ্যালবাম মুক্তির পরই বিশ্বসংগীতে হইচই ফেলে দেন শাকিরা। তিনবার গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পীর প্রথম সেই অ্যালবাম বিক্রি হয়েছিল আট কোটির বেশি কপি। গানের স্বত্ব, বাড়ি, গাড়ি, অর্থ, পণ্যদূত হিসেবে সম্মানি মিলিয়ে শাকিরার মোট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা মাত্র (গানের স্বত্ব বিক্রির টাকা বাদে)। ইতিমধ্যে তিনি নাম লিখিয়েছেন বিশ্বের সেরা ধনী নারী শিল্পীদের তালিকায়। তবে এই মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী শাকিরার কোনো গান আর শাকিরার নয়। আর সম্পদের পরিমাপ করলে টাকার অংকটাও বড় হয়েছে। ভবিষ্যতে শাকিরার গান থেকে যত আয় হবে, তার সবই যাবে হিপনোসিসের পকেটে।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর হিপনোসিসের কাছে যে পরিমাণ গান, আইপি অ্যাড্রেস আছে, সেগুলোর দাম ১০৫ কোটি পাউন্ড বা ১২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। সময়ের সঙ্গে এগুলোর দাম আরও বাড়বে। মাত্র ২ বছরে প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। ঝুলিতে জড়ো হওয়া গানের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ হাজার। সেগুলোর মধ্যে ২ হাজার গানই বিলবোর্ডের টপ টেনে জায়গা করে নিয়েছিল।