বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের উপহার দেওয়া করোনার টিকার ২০ লাখ ডোজ আজ সকালে দেশে আসে। বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে সেগুলো গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যেমন সফল হয়েছে টিকাদানের ক্ষেত্রেও তেমন সফল হবে।’
এর আগে, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান জানিয়েছিলেন- আগামী ২৭ অথবা ২৮ জানুয়ারি ২৫ জনকে করোনা টিকা দিয়ে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই ২৫ জন হবেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হতে পারে।
তিনি জানান, এরপর ৪০০-৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করার পর ৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু হতে পারে। কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী, মুগদা ঢাকা মেডিক্যালের স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হবে। কোন বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে না।
জানা যায়, প্রথম দিকে চিকিৎসক, নার্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, সাংবাদিকদের এই টিকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারিভাবেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।