দেশের ৬৪টি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার, ভাষার ভিন্নতা সবকিছুই তুলে ধরা হবে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে দর্শকরা বিনোদন পাওয়ার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ অনুষ্ঠানের এবারের পর্বটি সাজানো হয়েছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামকে ঘিরে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৪৭ এর দেশভাগ, ১৯৫২’এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, লালদীঘি ময়দান থেকে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা ঘোষণা, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি জাতির প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে চট্টগ্রামের নাম জড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও সুপ্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে বলা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী। মাইজভান্ডরী গান ও কবিয়াল গান চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্য। কবিয়াল রমেশ শীল একজন বিখ্যাত কিংবদন্তি শিল্পী। জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস, এলআরবি, রেনেসাঁ, নগরবাউলের জন্ম চট্টগ্রাম থেকেই।
এছাড়া এশিয়া মহাদেশের দুটি জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরের মধ্য চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর অন্যতম। চট্টগ্রাম মানেই সমুদ্র বন্দর আর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, রুই জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী, কর্ণফুলী টানেল, জাহাজভাঙ্গা শিল্প, প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ, লবণ চাষ, জব্বারের বলিখেলা, ঐতিহ্যবাহী গণভোজ মেজবান, শুটকি ও বেলা বিস্কুট। এর সব কিছুরই আঁচ থাকছে অনুষ্ঠানটিতে। আছে চট্টগ্রামের শিল্পী রবি চৌধুরী, সন্দীপন, ইলমা, শিমুল শীল, রন্টি ও আনিকার পরিবেশনা।
জগদীশ এষের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন শাহজামান মিয়া। আলিফ চৌধুরী ও নাহিদা আফরোজ সুমির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে আগামী ২২ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে।