কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সরকারের একার প্রচেষ্টায় সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেক সময়ের ব্যাপার। ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। মুজিববর্ষের অঙ্গিকার হিসেবে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সকলে এক সঙ্গে কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা । সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজ করতে হবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে। উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং খাবার টেবিলে পরিবেশন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণের বিধি-বিধানগুলো পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করা দরকার। না হলে নিরাপদ খাদ্যও অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম জনশক্তির বিকল্প নেই। আর কর্মক্ষম জনশক্তির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া উৎপাদক থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ভ্যালু চেইন সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে। এই চেইন বাস্তবায়ন হলে নারী-পুরুষ সবার জন্যই বাজারে সরাসরি পণ্য বিক্রয় সহজ হবে। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পাবে। এতে বৃদ্ধি পাবে মুনাফার পরিমাণ এবং কৃষি উৎপাদনও বাড়বে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের জোগান।
‘সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য : মুজিববর্ষের অঙ্গীকার’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে বিসেফ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুব কবীর, এসিআই অ্যাগ্রো বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী।