সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন ৯ জানুয়ারি দলীয় সহ-অধিনায়ক হুদার হঠাৎ করে টিম হোটেল ছেড়ে চলে যাওয়া ভালো চোখে দেখেননি বেশির ভাগ মানুষই।
পুরো টুর্নামেন্টে জৈব নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে আছে ৩৮টি দল। হুদার এভাবে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় তাই বেশ বিপদেই পড়ে বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। হোটেল ছাড়ার কারণটা ওই সময় বোর্ডকে এক ই-মেইলে বিস্তারিত জানান হুদা, যেখানে পান্ডিয়ার দুর্ব্যবহারের কথা লিখেছিলেন তিনি। হুদার আশা ছিল, পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিসিএ। উল্টো তাঁকেই শেষ পর্যন্ত শাস্তি পেতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে হুদাকে বরোদার হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ডানহাতি অলরাউন্ডারকে।
হুদার টিম হোটেল ছেড়ে যাওয়ার পরও বিসিএর বোর্ড সদস্যরা, বিশেষ করে সিনিয়র কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু তাঁদের রাগ ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমে। তবে বোর্ডের বেশ কয়েকজন সদস্য এক বছরের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটা মানতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত কিছুদিন অপেক্ষা করার পর সিদ্ধান্তটা দিতেই হয়েছে বোর্ডকে। বিসিএর চেয়ারম্যান সত্যজিৎ গায়কোয়াড় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন টিম ম্যানেজার, কোচ ও হুদার সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ‘হুদা চলতি মৌসুমে বরোদার হয়ে আর খেলতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তটা বোর্ডের শীর্ষ কাউন্সিল নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুরো ঘটনার ব্যাপারে ম্যানেজার ও কোচের প্রতিবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া হুদার সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।’
গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, আগামী ২০২১-২২ মৌসুমে আবারও খেলতে পারবেন হুদা। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রঞ্জি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফি আয়োজন করবে।
বিসিএর যুগ্ম সম্পাদক পরাগ প্যাটেলও হুদার এমন কাজ সমর্থন করতে পারেননি। হুদার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের সমালোচনা করে প্যাটেল বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে এভাবে হুদার দল ছেড়ে যাওয়া ভুল হয়েছে।’ যদিও হুদার শাস্তিটা বেশিই হয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘কিন্তু হুদাকে পুরো মৌসুম নিষিদ্ধ করার দরকারই ছিল না। তাঁকে তাঁর আচরণের জন্য তিরস্কার করা উচিত ছিল। এবং তাঁকে খেলতে দেওয়া উচিত ছিল।’