তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি কার্যক্রম জোরদার করেছে। আমদানি নির্ভর পণ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিশ্চিত করা হবে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কামটি নিয়মিত সভা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য কম-বেশি হওয়ার কারণে দেশে তা উঠা-নামা করে। সমস্যার গভীরে গিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। সকল ব্রান্ডের খোলা ভোজ্য তেল কনজুমার প্যাক/বোতলে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে সহজেই ব্রান্ড চেনা যায় এবং ভেজাল প্রতিরোধ করা যায়। শিল্প মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি ও মজুত করার জন্য ব্যবসায়ীদের পরমর্শ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে প্রতি বছরের মত সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করবে। এবার পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ বিগত বছরের প্রায় তিনগুণ হবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্তকর্তাবৃন্দ, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই’র পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।