বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির কনফারেন্স কক্ষে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সবাই কাজ করলেও দোষ শুধু বিএসইসি’র উপর পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোম্পানির মধ্যে অডিট কমিটির প্রধান হবেন একজন স্বাধীন পরিচালক, সিএফও’র দায়িত্ব কী, এমডির দায়িত্ব কী, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কী, অডিটরের দায়িত্ব কি- এসব কিছু নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এরপরে ডিসক্লোজার ভিত্তিতে আইপিও দেয়ার পরেও সমস্ত দোষ পড়ে কমিশনের ওপর। সেকেন্ডারি মার্কেট পড়ে গেলেও কমিশনকে দোষারোপ করা হয়। অথচ আমাদের কোনো বিনিয়োগ নেই। আমরা কারসাজি হলে ধরি, ডিমান্ড-সাপ্লাই ঠিক রাখি এবং এখানে যদি কেউ রিউমার (গুজব) ছড়ায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনি। তারপর মার্কেট ওঠা-নামা করার জন্য আমাদেরকে সমস্ত দোষ দেয়া হয়। রেগুলেটের হিসেবে এখানে অসহাত্ববোধ আমাদের।’
ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিসের ওপর গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের প্রাধান্য দিয়ে আজ এই মিটিংটি (সভা) আয়োজন করেছি। আমি বারবার বলি- সমাজে, ক্যাপিটাল মার্কেটে (পুঁজিবাজার) এবং অর্থনীতিতে কী ঘটছে এগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো সাংবাদিকরা।’
সাংবাদিকদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্লিয়ার করার জন্যই আজকের এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।