বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বাধা কাটলো ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বাধা কাটলো ভারতীয় ব্যবসায়ীদের
অবশেষে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বাধা কাটলো ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। উৎপাদন মৌসুমে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজের সরবরাহ হওয়ায় বিক্রি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল ব্যবসায়ীরা। কারণ এতোদিন রপ্তানি বন্ধ ছিল। প্রায় ছয় মাস পর পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন।

টুইটে তিনি বলেন, যেহেতু পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং এ বছর প্রচুর উৎপাদিত রয়েছে, তাই সরকার পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্চ মাসের প্রত্যাশিত উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৪০ লাখ মেট্রিক টন যা গত বছর একই সময় ছিল ২৮.৪ লাখ মেট্রিক টন।

বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর (ডিজিএফটি) থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ নিয়েও মন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী এপ্রিলে দেশটিতে ৮৬ লাখ টন পেঁয়াজের উৎপাদন করা হচ্ছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ লাখ টন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বন্যায় ভারতের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। সে সময় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। প্রতিবেশী দেশটি থেকে বাংলাদেশও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। এর প্রভাবে দফায় দফায় বাড়ে থাকে পেঁয়াজের দাম।

এক পর্যায়ে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যটির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। দাম ওঠে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের বাজার সামাল দিতে বাধ্য বাংলাদেশকে ভারতের বাইরেও চীন, মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত রফতানি মূল্য দ্বিগুণ করে প্রতি টন ৮৫০ ডলার করার পর হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় ঢাকার বাজারে। ২৯ সেপ্টেম্বর পাশের দেশটি রফতানি বন্ধ করে দিলে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। স্বাভাবিক বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা থাকলেও মাস শেষে শ’ ছাড়িয়ে যায়।

অক্টোবরে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে। ওই মাসের শেষভাগে সরকার আরেক প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে আমদানি বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম ফের ১০০ টাকার কাছাকাছি নিয়ে এলেও ৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। সব রেকর্ড ভেঙে একপর্যায়ে ২৫০-২৬০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হয় পেঁয়াজ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

টানা ৯ দিন বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি দিয়ে ৩৮ দিনে এলো এক লাখ ২০ হাজার টন চাল
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর, গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ
যুক্তরাষ্ট্রে ৭ মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ
তিন বছর পর হিলি দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু
বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি শুরু, দাম কমার আশা
হিলি স্থলবন্দরে দেড় মাসে আয় ১৮ কোটি টাকা
পরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেলো আরও ৫ পোশাক কারখানা
মার্কিন শুল্ক হ্রাসের পর স্থগিত কার্যাদেশ ফিরছে, সুবাতাস পোশাকখাতে
ঢাকায় পর্যটন মেলা ৩০ অক্টোবর