পরিসংখ্যান বলছে, প্রযোজকরা এই কন্নড় ছবি তৈরি করতে যত টাকা খরচ করেছিলেন, তার ৩৫ গুণ টাকা তাঁরা ছবিটির ব্যবসা থেকে তুলে ফেলেছেন। ‘কোলার গোল্ড ফিল্ড’ বা ‘কেজিএফ’ সত্যি সত্যিই সোনার খনিতে পরিণত হয়। তার আগেই অবশ্য ছবির হিন্দি স্বত্ব কিনে ফেলেছিলেন ফারহান আখতার আর রীতেশ সিধওয়ানি।
তবে ‘কেজিএফ’-এর দ্বিতীয় পর্বের হিন্দি স্বত্ব কিনতে গিয়ে তাদের গুনতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা।
এর আগে ‘এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট’-এর তরফে রীতেশ এবং ফারহান যখন ‘কেজিএফ’-এর হিন্দি স্বত্ব কেনেন তখন কেউই আন্দাজ করতে পারেননি সিনেমাটি এই পরিমাণ বাণিজ্য করবে। হয়তো অল্প দামে সিনেমার স্বত্ব বিক্রি করে আক্ষেপ করছিলেন প্রযোজকরা।
তবে সেই আক্ষেপ এবার রাখতে চাইলেন না। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয় ছবির হিন্দি স্বত্ব বিক্রি করা হলো প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
‘কেজিএফ’-এর সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘প্রথম সিনেমার সময় খুবই কম টাকায় হিন্দি স্বত্ব বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এখন আর সেটা হওয়ার নয়। কন্নড় ভাষাতেই দ্বিতীয় ছবির ক্ষেত্রে প্রায় ৭ গুণ বেশি অর্থলগ্নী হচ্ছে। ফলে হিন্দি স্বত্বর জন্যও অনেক বেশি খরচ করতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক।’
‘কেজিএফ’-এর দ্বিতীয় পর্বের টিজার মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। দক্ষিণের সুপারস্টার যশের এই ছবির দ্বিতীয় টিজারও মুক্তির পথে। নির্মাতাদের দাবি, ‘কেজিএফ’-এর থেকে দর্শকের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সেই চাহিদা মেটাতে পারবে বলেই তাদের আশা।