শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এবারের উৎসবে ঢাকার মোট তিনটি ভেন্যুতে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিন থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে, ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট চারটি করে প্রদর্শনী হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতেই থাকছে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র। উৎসবের সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য না থাকলেও এ বছর মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উত্সবের টিকিট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উৎসবে শিশু-তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, মো. মাশরুকুল হক এবং মারুফা মাশরুক। সেলিব্রেটি আড্ডায় থাকবেন প্রথম বাংলাদেশি নারী এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, সংগীত শিল্পী সায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েক।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে ৬১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হবে। আর পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সি তরুণ নির্মাতারা অংশ নেবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রয়েছে ‘মুক্তির চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিশেষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগ। একই সঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ। ৮১টি দেশের ১ হাজার ১১৬টি জমাকৃত চলচ্চিত্র থেকে এই বিভাগে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশের মোট ১১৬টি চলচ্চিত্র।
এছাড়া থাকছে বিভিন্ন দেশের শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে প্রতিযোগিতা বিভাগ। যেখান থেকে একটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কার দেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘নিউ নরমাল’ শিরোনামে নতুন একটি সামাজিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগ রাখা হয়েছে। উৎসবে প্রতিনিধিদের জন্য থাকছে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা ও সেমিনার। এবার মোট চারটি কর্মশালায় পরিচালনা ও সিনেমাটোগ্রাফির ওপর ক্লাস নেবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও তাহসিন রহমান। এছাড়া স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের ওপর ক্লাস নেবেন সাদিয়া খালিদ রীতি, প্রোডাকশন ডিজাইনের ওপর রঞ্জন রাব্বানী, ফেস্টিভ্যাল সার্কিট সম্পর্কে ক্লাস নেবেন আবু শাহেদ ইমন। ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে সাত দিনের এই চলচ্চিত্র উৎসব।