নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপে ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। এর মধ্যে কুমিল্লার লাকসাম, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া- এই তিন পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এছাড়া ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এবং ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। ৬২ পৌরসভায় ৬২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মোট পাঁচ দিনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। নির্বাচনের আগের দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দুদিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনী এলাকাগুলোয় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
যে ৬২টি পৌরসভায় ভোট হয়েছে সেগুলো হলো- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট, শিবগঞ্জ, গাবতলী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নওগাঁর সদর ও ধামইরহাট, রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া, পাবনা সদর, চুয়াডাঙ্গার সদর ও দর্শনা, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের সদর ও কালিয়া, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনার সদর ও পাথরঘাটা, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান, বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী, টাঙ্গাইলের সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখিপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের ভালুকা, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সীগঞ্জের সদর, রাজবাড়ীর পাংশা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনীর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চৌমুহনী এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।
এছাড়া ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময় ইঞ্জিলচালিত সব ধরনের যানবাহনও বন্ধ রয়েছে। ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা ভোটার চলাচলের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল করতে পারবে।
দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয় ১৬ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।