মন্ত্রী বলেন, বন সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করতে বনবিদ্যা ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার মাঝে যুগোপযোগী ও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। বন বিজ্ঞানে স্নাতকদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্মসংস্থান প্রদানের ব্যাপারেও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউশন অফ ফরেস্টার্স বাংলাদেশ (আইএফবি) এর ওয়েবিনার ভিত্তিক বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১ এ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের সাফল্যের ধারায় বাংলাদেশের বন সেক্টর বিস্তৃত করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ন্যাশনাল ফরেস্ট ইনভেন্টরি, সাসটেইনেবল ফরেস্ট এন্ড লাইভলিহুড (সুফল) প্রকল্প, সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প ইত্যাদি বন ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার উদাহরণ। বনমন্ত্রী বলেন, বনজ সম্পদের সঠিক সংরক্ষণের জন্য সর্বোত্তম সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষিত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত দক্ষ বনবিদ। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বন ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নীতি-কৌশল অনুসরণ করে আমাদের দক্ষ অভিজ্ঞ বনবিদগণের সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ সেক্টর বাংলাদেশকে একটি সবুজ এবং বাসযোগ্য দেশে পরিণত করবে বলে আমি মনে করি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশন অফ ফরেস্টার্স বাংলাদেশ (আইএফবি) এর সভাপতি ও সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্তণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ,কে,এম রফিক আহাম্মদ, আইএফবি এর সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী এবং আইএফবি এর সহ-সভাপতি ও প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।