মূলত ২০২০ সালেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল পাপনের মেয়াদ। তবে করোনা মহামারীর কারণে নতুন সভাপতি নির্বাচনে তৎক্ষণাৎ তৎপরতা ছিল না এসিসির। তবে সময় সুযোগ বুঝে গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এসিসির বার্ষিক সভা। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালেই। সভায় এশিয়ান ক্রিকেটের পরবর্তী কর্তা হিসেবে নির্বাচিত হন জয়।
৩২ বছর বয়সী এই ক্রীড়া সংগঠক দায়িত্ব গ্রহণ করেই এশিয়ান ক্রিকেটের উন্নয়ন ও এশিয়ায় ক্রিকেটকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। বয়সভিত্তিক দল ও নারী দলের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন জয়।
বর্তমানে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জয় শাহ বলেন, ‘আমার লক্ষ্য থাকবে এশিয়ান ক্রিকেটকে আরও সংগঠিত, ক্রিকেটের উন্নয়ন ও তা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া। ক্রিকেটের শক্তিশালী কিছু দলের মধ্যে এসিসি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা ধরে রেখেছে এবং সেটা নিয়ে এগিয়ে যাবে। আমাদের অবশ্যই দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে এশিয়ার ক্রিকেটের সর্বোপরি উন্নয়নের জন্য। এই মহামারী অনেক চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। তবে ইতিহাস বলছে চ্যালেঞ্জের মুখেই নতুন দরজা উন্মোচিত হয়। আমাদের এর সাথে মানিয়ে নিয়ে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যেতে হবে।’
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই- এশিয়া কাপ আয়োজনের সময় প্রতিবছর বেশ গড়িমসি দেখা যায় ভারতের পক্ষ থেকে। চলতি বছরের এশিয়া কাপ তারা বর্জন করতেও পারে বলে শোনা গেছে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছিল যে, ভারত যদি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে না পারে তাহলেই তখন তারা এশিয়া কাপ খেলবে। অন্যথায় তাদের খেলার সম্ভাবনা কম। কারণ হিসেবে ঠাসা সূচিকে সামনে এনেছিল ভারত।