সূত্র মতে, রোববার (৩১ জানুয়ারী) কোম্পানিটির লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লেকশোর হোটেল, লা ভিটা বাঙ্কুয়েট হল, গুলশানে কোম্পানির লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কোম্পানিটি গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পরযন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করেছে।
জানা গেছে, মীর আখতারের আইপিওতে মোট ৮৩০ কোটি ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকার বা ৭.৫৭ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানিটির আইপিওতে ২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ারের বিপরীতে এই আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের ৫৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ টাকার, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ৪৭ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৪০ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২০০ টাকার এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ২১০ কোটি ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৭তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
মীর আখতার হোসেন বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে সরঞ্জাম-যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাব-বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ৩২ টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩৪ দশমিক ৭১ টাকা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৩ টাকা।
পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ২১ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।