বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ। বাঁ পায়ের ঊরুতে চোট পাওয়া অলরাউন্ডারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না দল। স্বাভাবিক হাঁটা-চলা করলেও ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস নেই সাকিবের। এজন্য তাকে ছাড়া পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাকিবের বাঁ পায়ের ঊরুতে টান পড়ে। নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান বাঁহাতি স্পিনার। এরপর বোলিং চালিয়ে গেলেও মোটেও ফিট ছিলেন না। তার আগে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৮ রান করেছিলেন তিনি। উইন্ডিজের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার শেষ করে মাঠ থেকে উঠে যান। এর আগে ৬ ওভারে দেন ১৬ রান।
বিসিবি বলেছে, ‘চট্টগ্রামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাঁ উরুতে চোটে পড়ার পর থেকে সাকিবকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে তাকে দ্বিতীয় টেস্টে রাখা হচ্ছে না।’
জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থাকলেও বিসিবির চিকিৎসা বিভাগের অধীনে চলবে সাকিবের চিকিৎসা। এরপর তাদের অধীনে পুনর্বাসনের কাজও চলবে।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আচরণ ভঙ্গ করে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজে ১১৩ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। ফেরার ম্যাচে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
টেস্ট সিরিজও খেলতে মুখিয়ে ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে ব্যাট হাতে ৬৮ রান করে ভালো কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত চোটে আপাতত দর্শক হয়েই থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডারকে।