এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয় ফেসবুকের পক্ষ থেকে।
ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর আস্থা গুপ্তা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আগামী কয়েকমাস ফেসবুক রাজনৈতিক পোস্ট এবং অন্যান্য কনটেন্ট নিয়ে ব্যবহারকারীদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবে। বিভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান থেকে ফেসবুক ব্যবহার করে এমন ব্যক্তিদের কাছে জরিপসহ বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মতামত জানার চেষ্টা করবে ফেসবুক। তার ভিত্তিতে রাজনৈতিক পোস্ট ও কনটেন্ট কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেবে ফেসবুক। আর পোস্ট কমানো হলে সেটির অনুপাত কেমন হবে সেটিও নির্ধারিত হবে এসব জরিপ ও পরীক্ষা থেকে।
ফেসবুক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কিত এক তথ্যসূত্রে জানিয়েছে, একজন ব্যবহারকারী হোমপেজ তথা নিউজফিডে যত কনটেন্ট দেখেন তার মাত্র ৬ শতাংশ রাজনৈতিক সম্পর্কিত পোস্ট। কোন ব্যবহারকারী রাজনৈতিক পোস্ট দেখবেন বা দেখবেন না এবং দেখলে কী অনুপাতে দেখবেন সেসব সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
তবে একজন ব্যবহারকারী রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখতে চাইলে তার ক্ষেত্রে ফেসবুক কনটেন্ট প্রদর্শনের অনুপাত কমাবে না বলে জানিয়েছে। এজন্য ব্যবহারকারী যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের পোস্ট নিজের টাইমলাইনে দেখতে চান সেসব দল বা ব্যক্তির পেজ ও আইডি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এক্ষেত্রে পছন্দের পেজ ও আইডিতে থাকা ‘ফেবারিটস’ অপশন চালু করে রাখার সুপারিশও করেছে ফেসবুক।
আর যারা রাজনৈতিক পোস্ট দেখতে চান না বা কম দেখতে চান তারা “Manage what you see in News Feed” অপশনটি ব্যবহার করতে পারে বলে বলেছেন আস্থা গুপ্তা। একইসঙ্গে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কনটেন্ট বন্ধ করে দিলে ওই ব্যবহারকারীর নিউজ ফিডে কোনো রাজনৈতিক পোস্ট বিজ্ঞাপন দিয়েও দেখানো যাবে না।