২৫ রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডা সিলভা ও আলজারির শতাধিক রানের জুটিতেই ৪০০ রান পার করার পথে ছিল তারা। কিন্তু ৯২ রানে ডা সিলভার বিদায়ে উইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ৩৮৪/৭। এই প্রতিরোধ ভাঙার পর আলজারিও টিকতে পারেননি। ৮২ রানে আউট হন আবু জায়েদ রাহীর বলে। ডানহাতি পেসার তার পরের ওভারে ফেরান জোমেল ওয়ারিকানকে। ডা সিলভাকে মাঠছাড়া করা তাইজুল ইসলাম ৮ রানে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। তাতে শেষ হয় সফরকারীদের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ৪০৯ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের ৪০৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে টাইগাররা। ডানহাতি ফাস্ট বোলার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল তার প্রথম দুই ওভারে সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন। চার বল খেলে রানের খাতা না খুলে মিড উইকেটে কাইল মায়ার্সকে ক্যাচ দেন সৌম্য। গ্যাব্রিয়েল তার দ্বিতীয় ওভারে শিকার করেন শান্তকে। ২ বল খেলে ৪ রান করে গালিতে এনক্রুমাহ বোনারের ক্যাচ হন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। ১১ রানে স্বাগতিকরা হারায় ২ উইকেট।
এরপর ক্রিজে নামেন মুমিনুল হক। তামিম ইকবালের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়ে শুরুর ক্ষত সারানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।কিন্তু মুমিনুলকে বিদায় নিতে হয় ৫৮ রানের জুটি গড়ে। ৩৯ বলে চারটি চারে ২১ রান করে রাকিম কর্নওয়ালের বলে জশুয়া ডা সিলভার ক্যাচ হন স্বাগতিক অধিনায়ক। মুমিনুলের বিদায়ের ২ রান পর দলীয় ৭১ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। আলজারি জোসেফের বলে শাইনি মোয়েসলির হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে তামিম করেন ৫২ বলে ৪৪ রান।
৭১ রানেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ভরসা হয়ে আছেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। ২৭ রানে অপরাজিত মুশফিক, ৬ রানে মিঠুন। টিকে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টায় ৬১ বল খেলে ফেলেছেন মিঠুন। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা। এখনো টাইগাররা পিছিয়ে আছে ৩০৪ রানে।