ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫৯ রানে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে স্লিপে কর্নওয়ালের হাতে ক্যাচ হয়েছেন সৌম্য সরকার। তিনি করেছেন ১৩ রান। এরপর দলীয় ৭০ রানে ব্র্যাথওয়েটের বলে শর্ট কাভারে মোসেলের হাতে ধরা পড়েছেন তামিম ইকবাল। তার সংগ্রহ ৫০ রান। টেস্টে তামিমের এটি ২৮তম অর্ধশত। দলীয় ৭৮ রানে রাখিম কর্নওয়ালের বলে শর্ট লেগে মোসেলের হাতে ক্যাচ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩১ বল খেলে ১১ রান করেছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১০১ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। ছয় নম্বর পজিশনে নেমে ১০ রান করে কর্নওয়ালের শিকার হয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে অলআউট করেছে টাইগাররা। যার ফলে এই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়িয়েছে ২৩১ রান। কারণ প্রথম ইনিংস শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৩ রানের লিডে ছিল।
গতকাল (শনিবার) ৩ উইকেটে ৪১ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিন শেষে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান জোমেল ওয়ারিকানকে আজ বেশিদূর এগোতে দেননি রাহি। রবিবার দিনের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে ওয়ারিকানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ২ রান করে ফিরেন এই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৬২ রানে কাইল মায়ার্সও রাহির বলে এলবিডব্লিউ হন। চট্টগ্রাম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান করেন ৬ রান। ৩৫তম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে স্ট্যাম্পিং হন জার্মেই ব্লাকউড। তার সংগ্রহ ৯ রান।
৬ উইকেটে ৯৮ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরতির পর বাকি চার উইকেটও দ্রুত তুলে নেয় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ৩৬ রান দিয়ে ৪টি, নাঈম হাসান ৩৪ রান দিয়ে ৩টি ও আবু জায়েদ রাহি ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। ১৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।