রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংগঠনটি আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি আমেনা বেগম বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই এসডিজির একটি বড় অঙ্গীকার হচ্ছে কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠীকেও সঙ্গে রাখতে হবে।
নানাবিধ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই এসডিজির একটি বড় অঙ্গীকার হচ্ছে কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠীকেও সঙ্গে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গৃহশ্রমিকরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশ। অথচ তাদের শ্রমের বিনিময়ে নিয়োগকারীর পরিবারের মানুষেরা কাজ করার সুযোগ পায়, তাদের সন্তানরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনার সুযোগ পায়। অথচ আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকার কারণে গৃহশ্রমিকদের নিয়োগকারীরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন না।
আলোচনা সভা থেকে দাবি জানিয়ে বলা হয়, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, গৃহশ্রমিকদের জন্য শোভন কাজ সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও রিকমেন্ডেশন ২০১ এবং কাজের জগতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি নির্বাচন সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৯০ এ নির্দেশনা বিবেচনায় রেখে গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষা একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
‘সারাবিশ্ব এখন কর্মক্ষেত্রের নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে নানারকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। কর্মক্ষেত্র যদি নারীর জন্য নিরাপদ না হয় তাহলে একটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, পাশাপাশি ব্যাহত হয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি। তাই নারীর প্রতি সহিংসতার অর্থ হলো অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা। অন্যদিকে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতিতে আশাপ্রদ অনেক নির্দেশনা থাকলেও প্রয়োগের দিক থেকে তা দুর্বল। গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণীত হলেই এসব নির্দেশনা প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। ’
এসময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তার নাহার, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জাহান আরা হক প্রমুখ।নানাবিধ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।