ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের ইকোনমিক কাউন্সিলর পিয়েরি হেনরী ল্যানফ্যান্ট এফবিসিসিআই প্রধানের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে শেখ ফাহিম এ কথা বলেন।
শেখ ফাহিম বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সহজ ও আরো গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো প্রসারিত করতে পিয়েরি হেনরী এর প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ জনবসতিপূর্ণ দেশ কিন্তু এর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে ও দেশের শিল্পখাতের বিকাশে ‘টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন এন্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিবিসিসিআই। সেক্ষেত্রে ফ্রান্স সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন শেখ ফাহিম।
বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার, বিশেষ করে দেশটি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিতে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া দেশটি বাংলাদেশ থেকে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ও চিংড়ি, সিরামিক ও ওষুধ আমদানি করে থাকে।
শেখ ফাহিম আরেঅ বলেন, ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে বলে জানান শেখ ফাহিম।
বৈঠকে শেখ ফাহিম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পণ্য সেবা, সচেতনতা বৃদ্ধি, ভোগ্য পণ্য ও প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
হেনরী বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ফ্রান্সের বৃহত্তম নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দ্যা মুভমেন্ট ডেস এন্টারপ্রাইজ দি ফ্রান্স (মেডেফ)(TheMouvement des entreprises de France) পরিদর্শনের জন্য এফবিসিসিআই সভাপতিকে আহবান জানান।
বৈঠকে এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: মুনতাকিম আশরাফ, সহ-সভাপতি হাসিনা নেওয়াজ, মীর নিজামুদ্দিন আহমেদ, নিজামুদ্দিন রাজেশ, দীলিপ কুমার আগারওয়ালা, পরিচালক সজীব রঞ্জন দাশ উপস্থিত ছিলেন ।