সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতোদিন ফ্লোর প্রাইসের কারনে বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ঠিকমতো সমন্বয় হতো না। কারন এই ফ্লোরের কারনে বোনাস বা রাইট ইস্যু করা হলেও তা সমন্বয়ের মাধ্যমে কমার সুযোগ ছিল না। তবে সেই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বোনাস ও রাইট শেয়ার পরবর্তী সমন্বিত দরকে সংশোধীত ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বোনাস ও রাইট শেয়ার ঘোষণার রেকর্ড ডেট পরবর্তী ডাইলুশন প্রভাব বিবেচনায় কোম্পানির সমন্বিত মূল্য সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।
ফ্লোর প্রাইসের আইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যদি কোনো কোম্পানি যে পরিমাণে রাইট শেয়ার বা বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে তাহলে কোম্পানিটির শেয়ার দর সে অনুযায়ী এডজাস্টমেন্ট করা হয়। তবে এডজাস্টমেন্ট এর ক্ষেত্রে যদি কোন কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইজের নিচে চলে যায় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফ্লোর প্রাইস পর্যন্ত এডজাস্টমেন্ট হবে। কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের নিচে যেতে পারবেনা বলে আইনে বলা হয়েছে।
এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর শেয়ারবাজারে ধস ঠেকাতে সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করা হয় ফ্লোর প্রাইস। তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ক্ষেত্রেই এই দাম বেঁধে দেয়া আছে। বলা হয়েছে, এর নিচে কোনো অবস্থাতেই শেয়ারের দাম যাবে না। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির মৌল ভিত্তি বিবেচনায় না নিয়ে বাজার মূল্যকেই বিবেচনা করা হয়। গত ২২ মার্চের আগের পাঁচ দিনের গড় মূল্য ফ্লোর প্রাইস হিসেবে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএটিবিসির বোনাস ঘোষণার পর এর ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। তারই পরিপেক্ষিতে কমিশন এই বিষয়টি পরিস্কার করেন।