বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে অনুমোদিত ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসির অনুমতিক্রমে ৯৮টিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd ) দেখে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে এরই মধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা নিতান্তই অনভিপ্রেত।
ইউজিসি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত ডিগ্রির মূল সনতে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি থেকে নিয়োগ করা ভাইস চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার সবাই নিয়োজিত রয়েছেন। ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োজিত রয়েছেন।
আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন ৭২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, উপ-উপাচার্য রয়েছেন ২২টিতে এবং ট্রেজারার রয়েছেন ৫৪টিতে। তবে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে কোনো ব্যক্তি নেই। ইউজিসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত হালনাগাদ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।