বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, নিজস্ব ক্ষমতা এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের দায়িত্ব। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কমিশনকে সহযোগিতা করা। আওয়ামী লীগ তাই করছে। বিএনপিরও একই দায়িত্ব। বিএনপি এ পর্যন্ত পদে পদে বাধা ছাড়া একটি শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোনো সহযোগিতাই করেনি। উল্টো তারা নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা চায়। কমিশন যদি বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় তবেই তাদের ভাষায় কমিশন নিরপেক্ষ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টিতে বিএনপি নিপুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, নির্বাচন কমিশন নাকি সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় কারও উপর নির্ভরশীল নয়, সরকারের হাতিয়ার হচ্ছে একমাত্র দেশের জনগণ।’
বিএনপি যখন জনগণের ভোটের অধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলে তখন হাসি পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্মৃতিতে ভাসে তাদের আমলের সময়ে সৃষ্ট রেকর্ডের কথা। এদেশের ইতিহাসে ভোটারবিহীন এবং একতরফা নির্বাচনের রেকর্ড গড়েছিল বিএনপিই।’
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মাগুরা মার্কা উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি অনিয়মের রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় সবচেয়ে আজ্ঞাবহ ও বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ছিলেন আজিজ কমিশন। যার প্রমাণ ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন তারা করতে চেয়েছিল।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারও সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। এদেশে মানুষের ভোটাধিকার হরণের জনক বিএনপির মুখের কথা মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না।’
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠা দল আওয়ামী লীগ সরকার থাকলেও এখনও রাজপথ ছাড়েনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশি-বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’