এর আগে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান জেমস কোয়েনসি। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাহীর বাংলাদেশে এটাই প্রথম সফর। সেই হিসাবে কোয়েনসিই হচ্ছেন কোকাকোলার প্রথম কোনো প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান, যিনি বাংলাদেশ সফরে এলেন। ঢাকায় আসার কিছুক্ষণ পরই দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা। বিকেলে কোয়েনসি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
কোকাকোলা চেয়ারম্যান জানান, গত পাঁচ বছরে ৮৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে কোকাকোলা। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে আরও ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (২০ কোটি ডলার) বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে কোকাকোলার। ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এক লাখ নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার কথাও বলেন তিনি।
কোয়েনসি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমাদের ব্যবসা ঠিক ততটুকু টেকসই, যতটুকু আমাদের জনসমাজ পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডল টেকসই। যার মানে আমাদের ব্যবসার টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব হবে, যখন আমাদের চারপাশের জনসমাজ ও মানবসমাজের উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ তৈরির লক্ষ্যে ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ (ডব্লিউবিসি) প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ৫ বাই ২০ (ফাইভ বাই টুয়েন্টি) কর্মসূচির সূচনা ঘটায় কোকাকোলা বাংলাদেশ। কেন্দ্র–উপকেন্দ্র মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০৪টি উইমেন বিজনেস সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে ৭০ হাজার নারী ইতিমধ্যে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যে এক লাখেরও বেশি নারী ও তাঁদের পরিবার এই ডব্লিউবিসির সুবিধা ভোগ করবেন। বর্তমানে জামালপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় প্রকল্পটির কার্যক্রম চলছে।