ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান গত মঙ্গলবার শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানান। খসড়া জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এ ২৫টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ডিসিসিআই। এসব সুপারিশ তখন শিল্পসচিবের কাছে হস্তান্তর করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এছাড়া সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা হারাবে। এটি দেশীয় রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে, সে জন্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ করার দাবি তুলেছে ডিসিসিআই। এখন পর্যন্ত শুধু ভুটানের সঙ্গে এফটিএ হয়েছে বাংলাদেশের।
ডিসিসিআই শিল্পসচিবের কাছে এসএমইর সংজ্ঞা বদলানোর দাবি তুলেছে। বিদ্যমান নীতিমালায় ‘এসএমই’ খাতের সংজ্ঞা সংশোধন করে ‘মধ্যম’ ক্যাটাগরিকে কুটির, অতিক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র থেকে পৃথক করার আহ্বান জানান রিজওয়ান রাহমান। পাশাপাশি ‘মধ্যম’কে বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি। এর ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতিসহায়তা পাওয়ার বিষয়টি আরও সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।
এসএমই খাতের ক্লাস্টারের উন্নয়ন, পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল এসএমই ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ গঠনের সুপারিশ করেছে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই বলছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবাদে দেশে প্রায় ৪০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে হবে। প্রস্তাবিত শিল্পনীতিটি যাতে এনবিআর, বেপজা, বিডা, বেজা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় থাকে, তাতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।