জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।
রুলে সার্কুলারটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।
ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংকের সব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে গত ২৪ এপ্রিল ওই সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এ সুদহার কার্যকর হবে। ওই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন মাহফুজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে আইনের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
সার্কুলারে বলা হয়, ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্য সব খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণ/বিনিয়োগের ওপর সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হল। কোনো ঋণ/বিনিয়োগের ওপর উল্লেখিতভাবে সুদ/মুনাফা হার ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহিতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয় সেক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদী ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মোট খেলাপি ঋণ/বিনিয়োগের ওপর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ/অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে। প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের বিদ্যমান সর্বোচ্চ সুদ/মুনাফা হার ৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে। সুদ/মুনাফা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দণ্ডসুদ/অতিরিক্ত মুনাফা ব্যতিরেকে ঋণ/বিনিয়োগের ওপর অন্য কোনো সুদ/মুনাফা/দণ্ডসুদ/অতিরিক্ত মুনাফা আরোপ করা যাবে না।
চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির মধ্যে এসএমই’র ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্পখাতে প্রদত্ত সব ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতি অব্যবহৃত পূর্ববর্তী ৩ বছরের গড় হারের চেয়ে কোনোভাবেই কম হতে পারবে না। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করা হল।