এসময় শিক্ষকরা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সকল আবাসিক হল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে তিনটি দাবি পেশ করেন তারা।দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও বিচার করা, গেরুয়ার সঙ্গে ক্যাম্পাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খুলে দেয়া।
শিক্ষার্থীদের দাবি, পলিটেকনিকে হল খুললে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কেন খুলে দেওয়া হবে না?
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি না মানায় তারা ক্যাম্পাসে ফের বিক্ষোভ শুরু করছেন। এসময় আন্দোলনকারীদের ‘এক দফা এক দাবি, আজকেই হল খুলে দিবি’ স্লোগান দিয়ে একে একে সব হলের প্রধান ফটকের তালা ভাঙা শুরু করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হল, নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল, বেগম খালেদা জিয়া হল, শেখ হাসিনা হল, জাহানারা ইমাম হল, প্রীতিলতা হলসহ বিভিন্ন হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১২টার পর আল-বেরুণী হল এবং ফজিলাতুন্নেসা হলের তালা ভাঙে তারা। এরপর একে একে ফজিলাতুন্নেছা হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, শেখ হাসিনা হল, জাহানারা ইমাম এবং সবশেষ প্রীতিলাতা হলের প্রধান ফটকের তালা ভাঙেন আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন। রাত আটটার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন।