মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি একথা বলেন।
ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘হলে ওঠার প্রস্তুতি নিতে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। সেজন্য অনুষদ ও বিভাগ সমন্বয় করে ১৭ মে’র দুই সপ্তাহ পর থেকে এ কার্যক্রম চলবে। আগে ১৩ মার্চ পর্যন্ত যে রুটিন ছিল তা আর থাকছে না। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৩ মার্চকে কেন্দ্র করে যে পরীক্ষাগুলোর ঘোষণা ছিল, সেগুলো থাকবে না। এগুলো স্থগিত করা হলো।’
উপাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে বড় কোন পরীক্ষা এখন নেব না। বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সম্মতি, সামর্থ্য ও সুরক্ষা লাগবে। এখন হল খোলার জন্য টিকা নেওয়া পূর্বশর্ত। এ বিষয়গুলো এখন একেবারেই বিভাগীয় পর্যায়ে সীমিত থাকবে।’
সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাত কলেজের পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও ১৭ মে’র পূর্বের পরীক্ষাগুলো আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় কোন পরীক্ষা থাকবে না। সরকারের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রেটোকল আছে। সেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। এটা সরকারের প্রায়োরিটি।’
হল খোলার জন্য শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের বিষয়ে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সবসময় যৌক্তিক অবস্থানে থাকে। নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরণ করে। যখন তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়ার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সুরক্ষা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের মূল্যবোধ ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতি নেই। এ বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন। পিছিয়ে যাওয়া সময় পুষিয়ে দেওয়ার প্রায়াস আমাদের থাকবে।’