শুধু মসলা হিসেবেই নয়, এর বাইরেও বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এই মশলাকে। চলুন এবার তাহলে জিরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
জিরা পাচক রস বৃদ্ধি করে হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। এর বীজ উচ্চ লৌহ সমৃদ্ধ। প্রতি এক চা-চামচ জিরাতে এক দশমিক চার মিলিগ্রাম পরিমাণ লৌহ থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে জিরা। নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়। এছাড়াও শরীরের প্রদাহ কমানোর সঙ্গে চর্বি কমাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা পালন করে জিরা।
নিয়মিত জিরা পানি পান করার ফলে শরীরে পানির অভাব দূর হয়। পাশাপাশি দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এছাড়াও জিরার ভেতরে থাকা একাধিক উপাদান শরীরে প্রবেশের পর শক্তি বৃদ্ধি এবং এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরের ভেতরে ডায়াজেস্টিভ এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে লিভারে অবস্থান করা ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের হয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিনের ডায়েটে জিরার পানীয় রাখার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এই পানীয় পানে ত্বকের ভেতরে পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে এবং এর প্রভাবে স্কিনের ভেতরে থাকা টক্সিন উপাদান বাইরে বের হয়। এতে করে ত্বকের বয়সের ছাপ দূর হয় এবং ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।