শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত শিল্প ও শিক্ষার সংযোগ শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই সংকট নিরসনে শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে। আমাদের জনবহুল দেশ হওয়ায় বিদেশ কর্মী প্রেরণের কথাও ভাবতে হবে। ২০৪১ সালের রূপকল্প সবাই মিলে করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আসলে আমরা শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারছি না। পোশাক শিল্প মালিকরা হা-হুতাশ করেন, মিড ও সিনিয়র লেভেলের কর্মী আনতে হচ্ছে আশপাশের দেশ থেকে। এখাতে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ বিবিএ, এমিএ ডিগ্রিধারীর অভাব নেই। তাহলে কেনো এই সংকট বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে আমরা এদিকে যথাযথভাবে নজর দেইনি।
শিক্ষকরা মনে করেন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মুনাফার কথা চিন্তা করে। আর শিল্পপতিরা ভাবেন প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সেকেলে। বর্তমান যুগের চাহিদা ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষাবিদরা ওয়াকবিহাল নয়। কোনোটি সঠিক নয়, সবাই ভবিষ্যৎমুখী। দুয়ের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচাতে হবে।
তিনি বলেন, সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। এ জন্য রিসার্চ ফেলোশিপ চালু, রিসার্চ ল্যাবগুলো সমৃদ্ধ করা ও গবেষণার স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।