গত শুক্রবার রাতে এই সুখবর আসে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
কিন্তু এই উত্তরণের সুবাদে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে মর্যাদা বাড়লেও বাংলাদেশকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কারণ, এলডিসি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া কিছু সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। ফলে রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে, ওষুধ উৎপাদনের খরচ বাড়বে। আরও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
সিডিপির নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে বের হতে হলে পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে নির্দিষ্ট মান অর্জন করতে হয়। ২০১৮ সালের পর এবার দ্বিতীয় মূল্যায়নেও নির্দিষ্ট মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একটি দেশ এলডিসি থেকে বের হতে পারবে কি না, সেটি ঠিক করা হয় মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রে অন্তত দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন কিংবা মাথাপিছু আয় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুণ করতে হয়।
এবার বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের নামও সুপারিশ করেছে সিডিপি। যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও মিয়ানমার এবং তিমুর লেসেথো সুপারিশ পায়নি।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশি সুদে হলেও ঋণ নিয়ে অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিক খরচ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলোর দেওয়া রেটিং বাড়বে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে।