আজ বুধবার (৪ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এই মহামারি মোকাবেলা এবং সম্ভব হলে বিরূপ প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তার লক্ষ্যে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।
এই নতুন প্যাকেজের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে অধিকতর উন্নয়ন চিকিৎসা, রোগ পর্যবেক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ তাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত জোরদারে সহায়তা দেবে। পাশাপাশি এই প্যাকেজ অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব হ্রাসে বেসরকারি খাতের সাথেও কাজ করবে। এই প্যাকেজ দেশভিত্তিক সহায়তায় লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে সমন্বয় সাধন করবে। আইডিএ, আইবিআরডি ও আএফসি এর মাধ্যমে এই প্যাকেজের অর্থায়ন হয়েছে।
ভাইরাস সাপোর্ট প্যাকেজে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আপৎকালীন তহবিল পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নতুন। বাকি অর্থের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইবিআরডি থেকে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আইডিএ’র ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও অগ্রাধিকার বিন্যাশের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের প্রচলিত খাত থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও আইএফসি থেকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রহণ করা হবে। এই ৬ বিলিয়নের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদ্যমান ব্যবসা পদ্ধতির মধ্য থেকেই সংগ্রহ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মালপাস বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগের একটি দ্রুত প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওই দেশগুলোতে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি তার মধ্যে রয়েছে জরুরি অর্থায়ন, নীতি পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা।
বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার, রোগ পর্যবেক্ষণ, মাঠ পার্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ, জনমনে উদ্বেগ দূর করে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় কাজ করবে।
সংস্থাটি দরিদ্রতম রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করবে। আইএফসি বাণিজ্যিক অর্থায়ন বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে কাজ করবে। আইএফসি মজুত ঠিক রাখতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ফার্মাসিউটিক্যালসকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরাসরি করপোরেট গ্রাহকদের সহায়তা করবে। বিশ্ববাসী কোভিডের প্রভাবে বিভিন্ন মাত্রার ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তার প্রয়োজন।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ দরিদ্রতম দেশ ও যাদের এই প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বেশি অথচ তা মোকাবেলার সক্ষমতা কম সেই দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেবে।