এই ম্যাচের আগে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১১টি ম্যাচ খেলেছেন তানভীর। যেখানে তার শিকার ছিল ১৯ উইকেট, একবারও নিতে পারেননি ইনিংসে পাঁচ উইকেট। সেই তিনি এবার এক ম্যাচেই নিলেন ১৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে পাঁচের পর, দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ৮টি।
তানভীরের এমন বোলিংয়ের পর ম্যাচের ফল নিয়ে কারও সংশয় থাকার কথা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৩১২ রান, দুই ইনিংসে ২০ উইকেট হারিয়েও টপকাতে পারেনি আইরিশরা। প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে অলআউট হওয়ার পর, আজ (রোববার) দ্বিতীয় ইনিংসে তারা থেমেছে ১৩৯ রানে।
মূলত ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষেই ফল প্রায় নির্ধারণ করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা পেয়েছে ১৬২ রানের লিড। যার জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আইরিশরা।
আজ বাকি ৬ উইকেট নেয়ার কাজটা সুনিপুণভাবে সেরেছেন তানভীর। একটি উইকেট নিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। দিনের বাকি ৫ উইকেট একাই নিয়েছেন তানভীর। সবমিলিয়ে ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ২৮.৩-১১-৫১-৮ আর দুই ইনিংস মিলে ম্যাচে তার শিকার ১০৬ রানে ১৩ উইকেট।
৪ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড উলভস। প্রথম সেশনে ২৮ ওভার খেলে ৫৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক হ্যারি ট্যাকটর ও কার্টিস ক্যাম্পার। কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় সেশনে ২৬.৩ ওভারে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেয় স্বাগতিকরা।
ট্যাকটর-ক্যাম্পারের জুটিটা ভেঙেছেন সাইফ। আয়ারল্যান্ডের দলীয় ৯৩ রানের সময় ২২ রান করে আউট হন ক্যাম্পার। এরপর বাকি সব উইকেটই যায় তানভীরের নামে। উলভসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অধিনায়ক ট্যাকটর। তবু এড়াতে পারেননি আড়াই দিনের হার।
সফরে এই একটিই চারদিনের ম্যাচ ছিল আয়ারল্যান্ড উলভসের। আগামী ৫ মার্চ (শুক্রবার) থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের পর শেষ দুই ওয়ানডে হবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর রয়েছে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।