আলোচিত ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্তের অংশ হিসেবেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। গত বছর ‘বার্সাগেট’ দুর্নীতি ও নানামুখী বিতর্কের কারণে বার্তোমেউ এবং তার পরিচালনা পর্ষদ পুরোটাই পদত্যাগ করে।
অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালে ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আইথ্রি নামের এক গণসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিয়েছিলেন বার্তোমেউ। উদ্দেশ্য ছিল বার্সা কিংবদন্তিদের নামে অপপ্রচার চালানোর।
জানা গেছে, এক বছর আগের বার্সাগেট কেলেঙ্কারির দায়ে এই তল্লাশি চালানো হয়। এটি মূলত ক্লাব অফিসিয়ালদের একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ, যার মাধ্যমে দলের প্রাণভোমরা মেসিসহ বর্তমান ও সাবেক অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারের নামে মিথ্যাচার ছড়ানো হয়েছিল।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে কাতালান পুলিশের একটি তদন্তে বের হয়ে আসে যে বার্সেলোনার কিছু উচ্চপদস্থ কর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে মেসিসহ দলের বড় তারকাদের নামে আর্থিক দিক দিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছে।
এর মধ্য দিয়ে সমর্থকদের মনে মেসি বিরোধি মনোভাব তৈরি ও তাদের ক্ষমতা আরো শক্ত করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানা যায়। সে সময় অনেকেই এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। কিছুদিন আগে বার্সেলোনার কিছু কর্মচারী পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তল্লাশি চালানো হয়।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে বার্সাগেট কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কিছু দিন পর পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ পায়। ক্লাবটি সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি ভিন্ন কাজের জন্য মোট ছয়বার চুক্তি করেছে বলে জানায় তারা।