মঙ্গলবার (২ মার্চ) সোনালী ব্যাংক ভবনে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু কর্নার ও মুজিব কর্নার উদ্বোধন করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর মূলধন ঘাটতি মেটাতে রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলো বাজেট থেকে যে অর্থ চাইতো তা থেকে সরে আসা ইতিবাচক লক্ষণ।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী গত ১০ বছরে দেশের সার্বিক অর্থনীতির অর্জনগুলোর প্রশংসা করেন।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার পরও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাঁচটিই এখনও মূলধন সংকটে। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি জনতা ব্যাংকের। ব্যাংকটির ঘাটতি ছিল ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের ৩ হাজার ৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ হাজার ২ কোটি ২০ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূলধন ঘাটতি।
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি ১০ হাজার ৮১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বিবেচনায় ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর মূলধন রাখার কথা ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাংক খাতে মূলধন রয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে উদ্বৃত্ত আছে ১৫ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।