স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।গত বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৭২ হাজারের কিছু বেশি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এটি রেকর্ড সংখ্যক আবেদন।
২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১টি আবেদনের হিসাবে এ বছর আসনপ্রতি লড়বে ২৮ জন শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১টি আবেদনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ১৬ হাজার, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে ৭ হাজার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ১২ হাজার, ময়মনসিংহে ১১ হাজার ৫২৯, চট্টগ্রামে ১০ হাজার ৮৮৬, রাজশাহীতে ১০ হাজার ২৬০, সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৮৯৭, বরিশালে ৩ হাজার, রংপুরে ৭ হাজার, কুমিল্লায় ৫ হাজার, খুলনায় ৫ হাজার, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার, ফরিদপুরে ৩ হাজার ৪৪৮, দিনাজপুরে ৩ হাজার, পাবনায় ২ হাজার, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলামে ১ হাজার ৭৪১, মুগদা মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুনে ২ হাজার এবং ঢাকা ডেন্টালে ৫ হাজার জন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বলেন, মহামারি করোনার কারণে এ বছর এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে আগের ফলাফল অর্থাৎ জেএসএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল (অটো পাস) দেয়া হয়। ফলে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।