মঙ্গলবার (০২ মার্চ) প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়।
সভার বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্লাব চত্বরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা জাতীয় এই প্রতিষ্ঠান এবং এর সদস্যদের চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছিল। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিরাপত্তারক্ষীর ভাষ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সেদিন ক্লাবের একটি হলরুমে আগে থেকেই জিয়া পরিষদের এক অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিএনপি সমর্থক বিপুল সংখ্যক কর্মী ক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন। ক্লাবের সামনের রাস্তায় ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষ শুরুর পর তারা রাস্তা সংলগ্ন মেইন গেটের তালা ভেঙে ছাত্রদল কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে সহায়তা করেন। এরপর একযোগে সেখান থেকে বাইরে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ ক্লাব প্রাঙ্গণে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে, এমনকি ভেতরে ঢুকে লাঠিচার্জ করে। এ পরিস্থিতিতে ক্লাবের ভেতরে অবস্থানরত সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েন। সংঘর্ষ যেন ক্লাব ভবনের ভেতরে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের থামাতে গিয়ে ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন কর্মকর্তাসহ তিনজন সদস্য আহত হন। ক্লাবে কোনো অনুষ্ঠান করার শর্ত অনুযায়ী যেখানে ক্লাব প্রাঙ্গণে শ্লোগান দেওয়াও নিষেধ, সেখানে ভেতর থেকে বাইরে ইট-পাটকেল ছোঁড়া, গেট ভাঙা ইত্যাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে প্রেসক্লাবের ভেতরে পুলিশের প্রবেশ, টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া, লাঠিচার্জও দুঃখজনক। বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আশা করা হয়।’
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে এমন আর না ঘটে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না, তবে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে।’